অনেক মধ্যবয়সী ও বৃদ্ধ মানুষ আছেন যাদের সকালে ব্যায়াম করার অভ্যাস রয়েছে, যা শরীরকে শক্তিশালী ও আকৃতি দিতে পারে, এবং জীবনের মজা পেতে পারেন। এছাড়াও, বৈজ্ঞানিক সকালের অনুশীলন শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমের ক্ষমতা উন্নত করতে পারে, সংবহনতন্ত্র এবং মোটর সিস্টেমের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে, মানুষের মস্তিষ্ককে আরও জাগ্রত করে তুলতে পারে এবং হৃদরোগ এবং ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।

সকালের ব্যায়াম কি খালি পেটে বা খাওয়ার পরে আরও ভাল হওয়া উচিত?

1、晨起后空腹运动

কিছু লোক মনে করেন যে সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করা শরীরের চর্বি পোড়াতে পারে এবং ওজন হ্রাস করার উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারে; তবে কিছু লোক চিন্তিত যে খালি পেটে অনুশীলন করা শরীরের শক্তি হ্রাস করবে, যা একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। শারীরিক সুস্থতা ও ব্যায়ামের পরিমাণ অনুযায়ী খালি পেটে ব্যায়াম করবেন কিনা তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন, সাধারণত যারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, যাদের সকালের ব্যায়ামের তীব্রতা কম এবং কম শক্তি খরচ হয় তারা খালি পেটে ব্যায়াম করতে পারেন। আপনার যদি দুর্বল শারীরিক ফিটনেস বা ব্যায়ামের তীব্রতা থাকে তবে কার্ডিওভাসকুলার এবং সেরিব্রোভাসকুলার ঝুঁকি এড়াতে আপনার খাওয়ার পরে অনুশীলন করা দরকার।

2、饭后再晨练

এক রাতের ঘুমের পরে, শরীরের শক্তি এবং জল প্রায় হ্রাস পেয়েছে এবং সকালের ব্যায়ামের আগে সঠিকভাবে শক্তি পুনরায় পূরণ করা স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ। আপনি যথাযথভাবে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেতে পারেন এবং যথাযথভাবে জল পুনরায় পূরণ করতে পারেন তবে আপনি অতিরিক্ত খেতে পারবেন না এবং আপনি ছয় মিনিট পূর্ণ খেতে পারেন। বেশি পরিমাণে খাওয়া হজম সিস্টেমের উপর বোঝা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা সহজেই পেটে ব্যথা বা পেট প্রলাপসের কারণ হতে পারে। খুব বেশি নাস্তা করলে ব্যায়াম করার আগে অন্তত এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। অতএব, যারা সকালের অনুশীলনে অভ্যস্ত তাদের অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত, পর্যাপ্ত জল পূরণ করা উচিত এবং তারপরে বাইরে অনুশীলন করা উচিত।

কোন পরিস্থিতিতে খালি পেটে সকালে ব্যায়াম করা উচিত নয়?

1. হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকিতে থাকা লোকেরা

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, সকালে নিম্ন থেকে মাঝারি তীব্রতার অনুশীলন করুন, এমনকি যদি আপনি উপবাস করেন, কারণ শরীরের রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তিশালী ক্ষমতা রয়েছে এবং ব্যায়ামের কারণে কোনও হাইপোগ্লাইসেমিয়া হবে না। তবে, দুর্বল রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণযুক্ত লোকেরা, বিশেষত দীর্ঘ সময়কাল এবং দুর্বল নিয়ন্ত্রণের সাথে ডায়াবেটিস মেলিটাসের মতো পুনরাবৃত্ত হাইপোগ্লাইসেমিয়া এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকিপূর্ণ দুর্বল শরীরের দুর্বলতাযুক্ত ব্যক্তিরা জোর করে উপবাসের অনুশীলন করলে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। উপরন্তু, ক্রমাগত হাইপোগ্লাইসিমিয়া সাধারণ দুর্বলতা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, অঙ্গ কম্পন এবং ঘাম হতে পারে এবং গুরুতর ক্ষেত্রে, এটি শক হতে পারে বা কার্ডিওভাসকুলার এবং সেরিব্রোভাসকুলার রোগ প্ররোচিত করতে পারে। অতএব, হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকিতে থাকা লোকেরা ব্যায়ামের সময় হাইপোগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধ করতে সকালের অনুশীলনের আগে যথাযথভাবে খাওয়া দরকার।

2. যখন অনেক ব্যায়াম করা

কিছু লোক চর্বি পোড়াতে এবং পেশীর শক্তি বাড়ানোর জন্য অনুশীলন করে, তাই তারা একটি তীব্র অনুশীলন পরিকল্পনা বিকাশ করে। উচ্চ তীব্রতা এবং দীর্ঘ সময়কালের সাথে সকালের ব্যায়ামের সময় যথাযথভাবে খান, যাতে ব্যায়ামের সময় অতিরিক্ত শক্তি সরবরাহ না হয়, যা ধড়ফড়ানি বা সাধারণ দুর্বলতা প্ররোচিত করতে পারে।

3. কার্ডিওভাসকুলার এবং সেরিব্রোভাসকুলার রোগে ভুগছেন

কার্ডিওভাসকুলার এবং সেরিব্রোভাসকুলার রোগে আক্রান্ত রোগীরা রক্তে শর্করার, রক্তচাপ এবং রক্তের লিপিড স্থিতিশীল করতে মাঝারি ব্যায়াম বজায় রাখতে পারেন। যাইহোক, সকাল রোগের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সময়কাল, এবং যদি আপনি খালি পেটে ব্যায়াম করেন তবে এটি কার্ডিওভাসকুলার বোঝা বাড়িয়ে তুলবে, রক্তের সান্দ্রতা বৃদ্ধি করবে এবং তারপর কার্ডিওভাসকুলার এবং সেরিব্রোভাসকুলার দুর্ঘটনা ঘটাবে। অতএব, এই ধরনের ব্যক্তিদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে সকালের ব্যায়ামের আগে তাদের রক্তচাপ স্থিতিশীল রয়েছে, যথাযথভাবে খাওয়া এবং জল পুনরায় পূরণ করা এবং তারপর ব্যায়ামকে পরিমিত করা বেছে নিতে হবে।

ইঙ্গিত

দেখা যায়, রোজার চেয়ে সকালের ব্যায়ামের আগে ঠিকমতো খাওয়া নিরাপদ। কার্ডিওভাসকুলার এবং সেরিব্রোভাসকুলার রোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সকালের ব্যায়ামের আগে অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ ওষুধ গ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও, সকালের ব্যায়ামের সময়টি খুব তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত নয় এবং সূর্য বের হওয়ার পরে এটি সাজানোর চেষ্টা করুন। কমপক্ষে 15 ~ 0 মিনিটের প্রস্তুতির ক্রিয়াকলাপ যেমন স্কোয়াটিং, বাঁকানো বা প্রসারিত হঠাৎ বিস্ফোরক শক্তি দ্বারা সৃষ্ট ফ্র্যাকচার বা পেশীগুলির স্ট্রেন প্রতিরোধ করতে পারে। শীতকালে অনেক খারাপ আবহাওয়া থাকে, কুয়াশা, বৃষ্টি ও তুষারপাত বাইরে ব্যবহার করা যায় না।