যাদের লিভার খারাপ তারা কি রসুন খেতে পারেন না? এটি কিছুটা সত্যের মতো শোনাচ্ছে, সর্বোপরি, আমরা সকলেই জানি যে রসুন আরও বিরক্তিকর, বিশেষত লিভারের অপর্যাপ্ততাযুক্ত লোকদের জন্য, এটি খাওয়া লিভারের উপর বোঝা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

কিন্তু আসলেই কি তাই?রসুনে প্রচুর পরিমাণে সালফাইড থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর লিভারকে চাপাতে হয়।

যাদের লিভার স্বাভাবিক ফাংশন আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটা কোনো সমস্যা নয়, বরং লিভার যদি আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যেমন হেপাটাইটিস, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত রোগীরা লিভারের মেটাবলিক ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে।

এ সময় বেশি পরিমাণে রসুন খেলে লিভারের ওপর বোঝা বাড়বে এবং পেটে অস্বস্তি ও বদহজমের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।উদাহরণস্বরূপ, একজন মধ্যবয়সী লোক, যিনি দীর্ঘদিন ধরে অ্যালকোহল পান করছিলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ফ্যাটি লিভার রোগ ধরা পড়েছিল।তিনি সাধারণত মসলাযুক্ত খাবার পছন্দ করেন, এবং তিনি স্বাদ বাড়ানোর জন্য রসুন ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।

সম্প্রতি, তিনি তার ডান উপরের পেটে অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেছিলেন এবং ডাক্তারের পরীক্ষায় দেখা গেছে যে তার লিভার ফাংশন সূচক এএলটি এবং এএসটি উন্নত ছিল, যা লিভারের ক্ষতির একটি স্পষ্ট লক্ষণ। চিকিৎসকরা তাকে বিরক্তিকর খাবার, বিশেষ করে রসুন খাওয়া কমিয়ে আনার পরামর্শ দেন।

আসুন আরেকটি উদাহরণ নেওয়া যাক, একজন যুবতী মহিলা যার উচ্চ স্তরের কাজের চাপ, অনিয়মিত জীবন এবং ঘন ঘন সামাজিকীকরণ রয়েছে এবং তার লিভার ফাংশন পরীক্ষাগুলিও হালকা অস্বাভাবিকতা দেখায়।তার স্বাস্থ্যের স্বার্থে, তিনি তার ডায়েট সামঞ্জস্য করতে শুরু করেছিলেন এবং যতটা সম্ভব কম চিটচিটে এবং বিরক্তিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে রসুনের জন্য তার নরম জায়গা রয়েছে এবং বিশ্বাস করেন যে এটি অনাক্রম্যতা উন্নত করতে পারে।

তবে বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে, প্রতিবার বেশি পরিমাণে রসুন খাওয়ার পর তার লিভার ফাংশন পরীক্ষার ফলাফল সবসময় পাওয়া যায় নাআদর্শ。 এটি তাকে অবাক করে তুলেছিল যে রসুন তার লিভারের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলছে কিনা।

এই উদাহরণগুলি আমাদের দেখায় যে এমনকি আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যকর খাবারগুলিও একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য বোঝা হতে পারে। খারাপ লিভারযুক্ত লোকেরা রসুন খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কীটি হ'ল নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ এবং ব্যক্তির স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়া।অল্প পরিমাণে রসুন স্বাস্থ্যের পক্ষে এখনও ভাল হতে পারে, বিশেষত এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য।

দুর্বল লিভারযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, রসুন গ্রহণ সহ তাদের ডায়েটে আরও মনোযোগ দেওয়া দরকার। লিভারকে রক্ষা করা এবং ডায়েটটি যুক্তিসঙ্গতভাবে সাজানো প্রত্যেকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এটি এমন নয় যে খারাপ লিভারযুক্ত ব্যক্তিরা রসুন খেতে পারবেন না, তবে তাদের এটি অত্যধিক না করার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং তাদের ডাক্তারের পরামর্শে তাদের ডায়েট সামঞ্জস্য করা উচিত।যে কোনও খাবার গ্রহণের আগে, আপনার শারীরিক অবস্থা বুঝে নেওয়া এবং আপনার পক্ষে কাজ করে এমন একটি ডায়েট বেছে নেওয়া সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি।যখন লিভারের স্বাস্থ্যের কথা আসে, অ্যালকোহল এড়ানো এবং ড্রাগের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি, আমরা যে খাবারগুলি খাই সেগুলিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমে, আসুন শুয়োরের লিভার সম্পর্কে কথা বলি। যদিও শুয়োরের লিভার আয়রনের একটি ভাল উত্স এবং প্রায়শই রক্ত পরিপূরকের জন্য সুপারিশ করা হয় তবে শুয়োরের লিভারে উচ্চ কোলেস্টেরল এবং আয়রনের পরিমাণ দুর্বল লিভারের কার্যকারিতাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য বোঝা হতে পারে।

লিভার নিজেই ভারী ধাতুগুলির ডিটক্সিফিকেশন এবং বিপাকের প্রধান সাইট,অত্যধিক আয়রন লিভারের উপর বিপাকীয় চাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে, বিশেষত যাদের ইতিমধ্যে হিমোক্রোম্যাটোসিসের মতো আয়রন তৈরির সমস্যা রয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তি যিনি প্রায়শই ক্লান্তি এবং জয়েন্টের ব্যথায় ভোগেন নিজের অজান্তেই রক্ত পুনরায় পূরণ করার আশায় শুয়োরের কলিজা সেবন করেন কেবল সমস্যার উন্নতি হয় না, তবে আয়রন ওভারলোডের কারণে তার লিভারের অবস্থার অবনতি ঘটে।

এরপরে, আসুন এমন একটি সীফুড পণ্য সম্পর্কে কথা বলি যা প্রত্যেকে পছন্দ করতে পারে - ইল।যদিও ইল সুস্বাদু এবং ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, এটি ফ্যাট তুলনামূলকভাবে বেশি, যা লিভারের অপর্যাপ্ততাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি লুকানো বিপদ হতে পারে।

ঈল মাছের নিয়মিত ভোজনভদ্রমহিলাযেহেতু তিনি জানতেন না যে ঈলে এই দূষকগুলি রয়েছে, দীর্ঘমেয়াদী ইনজেশনের পরে, তার লিভার ফাংশন সূচকগুলি ধীরে ধীরে অস্বাভাবিক হয়ে যায় এবং অবশেষে তার হালকা ফ্যাটি লিভার ধরা পড়ে।

সবশেষে টমেটোর কথা উল্লেখ করতে হয়। আপনি অবাক হতে পারেন যে কেন একটি আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যকর শাকসব্জী এই তালিকায় উপস্থিত হয়।টমেটো ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে সমৃদ্ধ, এগুলি বেশিরভাগ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর পছন্দ হিসাবে তৈরি করে।তবে টমেটোতে প্রাকৃতিকভাবে ঘটে যাওয়া ফলের অ্যাসিডগুলির একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকে যা লিভারের রোগে আক্রান্ত কিছু লোকের জন্য সমস্যা হতে পারে।

অস্বাস্থ্যকর লিভারযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে তাদের বিপাকীয় ক্রিয়া প্রতিবন্ধী হয় এবং অতিরিক্ত এচএ গ্রহণ লিভারের অ্যাসিডিক বোঝা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং লিভারের কোষগুলির মেরামতকে প্রভাবিত করতে পারে।

টমেটো হ'ল উচ্চ পটাসিয়াম সামগ্রীযুক্ত খাবার এবং লিভারের রোগের কারণে রেনাল অপ্রতুলতাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, অতিরিক্ত পটাসিয়াম গ্রহণের ফলে রক্তে অস্বাভাবিক পটাসিয়াম হতে পারে, যা স্বাস্থ্যের আরও ক্ষতি করে।সিরোসিসের একজন রোগী ছিলেন যিনি এই তথ্যটি না জেনে পুষ্টির জন্য প্রচুর টমেটো এবং টমেটো পণ্য গ্রহণ করেছিলেন, যার ফলে রক্তে পটাসিয়ামের অস্বাভাবিক মাত্রা দেখা দেয় যা সামঞ্জস্য করার জন্য চিকিত্সা হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়।

খারাপ লিভারযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, খাবার বাছাই করার সময় তাদের আরও সতর্ক হওয়া দরকার এবং তারা কেবল সাধারণ স্বাস্থ্যের মানদণ্ড অনুসারে চয়ন করতে পারে না। অতএব, যখন আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাদ্য নির্বাচন করি, তখন আমাদের কেবল তার পুষ্টির উপাদানের দিকে নজর দেওয়া উচিত নয়, তবে আমাদের নিজস্ব স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং বিশেষ চাহিদাগুলিও বিবেচনা করা উচিত এবং আমাদের ডায়েটকে যুক্তিসঙ্গতভাবে সাজানো উচিত, যাতে আমরা সত্যই আমাদের স্বাদ সন্তুষ্ট করতে পারি এবং আমাদের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারি।

লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যায়ামের সুবিধাগুলি প্রথম জিনিস নাও হতে পারে যা মনে আসে।কিন্তু বাস্তবে, সঠিক শারীরিক কার্যকলাপ লিভারের বিপাকীয় ফাংশনকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে, লিভারের চর্বি হ্রাস করতে, ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করতে এবং সামগ্রিক ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

উদাহরণস্বরূপ, গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত বায়বীয় অনুশীলন যেমন দ্রুত হাঁটাচলা, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো লিভারে চর্বি জমে হ্রাস করতে সহায়তা করে, যা নন অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার ডিজিজের বিকাশ রোধ করতে বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ।

একজন মধ্যবয়সী লোকের কথাই ধরা যাক, যিনি দীর্ঘদিন ধরে অফিসে বসে আছেন এবং ব্যায়ামের অভাব এবং বাজে খাদ্যাভ্যাসের কারণে মৃদু নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ধরা পড়েছে।অবশেষে, যা উপেক্ষা করা উচিত নয় তা হ'ল মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। যদিও এটি কিছুটা অপ্রত্যাশিত মনে হতে পারে, মেজাজের পরিবর্তনগুলি আসলে লিভারের স্বাস্থ্যকে বিভিন্ন উপায়ে প্রভাবিত করতে পারে।

স্ট্রেস এবং মানসিক চাপ শরীরে হরমোনগুলির স্তরে পরিবর্তন আনতে পারে যেমন কর্টিসল, যা দীর্ঘকাল ধরে উচ্চ স্তরে থাকলে লিভারের কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, একজন বিক্রয় ব্যবস্থাপক যিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজের চাপের মধ্যে রয়েছেন, কারণ তিনি কর্মক্ষেত্রে উচ্চ চাপের মধ্যে থাকেন, তিনি প্রায়শই মানসিক উত্তেজনার অবস্থায় থাকেন, কেবল ঘুমের গুণমান হ্রাস পায় না, তবে প্রায়শই ক্লান্ত এবং অসুস্থ বোধ করেন এবং লিভার ফাংশন পরীক্ষাগুলিও সামান্য অস্বাভাবিকতা দেখায়।তিনি যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের ক্লাসে অংশ নিয়ে কীভাবে স্ট্রেস পরিচালনা করবেন তা শিখেছিলেন এবং পরবর্তী শারীরিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যে তার লিভারের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার হয়েছে।

অনুশীলন করা, পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া এবং আপনার আবেগ পরিচালনা করা আপনার লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কারণ। যদিও এই জীবনযাত্রার সামঞ্জস্যগুলি সাধারণ বলে মনে হতে পারে তবে লিভারের প্রতিরক্ষামূলক প্রভাবগুলি আসলে সুদূরপ্রসারী এবং দীর্ঘস্থায়ী।

লিভারের স্বাস্থ্য নিয়ে কি ভাবছো?

Disclaimer: নিবন্ধের বিষয়বস্তু শুধুমাত্র রেফারেন্সের জন্য, কাহিনীটি সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক, স্বাস্থ্য জ্ঞানকে জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে, যদি আপনি অসুস্থ বোধ করেন তবে দয়া করে অফলাইনে চিকিৎসার সহায়তা নিন।